কলেজ পরিচিতি

‘ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ। যশোর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে ১৯৬৯ সালের ১৭ জুন ‘ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর’ নামে স্বীকৃতি লাভপূর্বক ১ জুলাই থেকে ৩ জন বাঙালীসহ মোট ৫ জন ছাত্রী নিয়ে দাউদ পাবলিক স্কুল এর দুটি ছোট কক্ষে কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। ক্যাপ্টেন করিম উদ্দীন আহমেদ কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে দাউদ পাবলিক স্কুল ক্যাম্পাস থেকে বর্তমান ক্যাম্পাসে কলেজটি স্থানান্তরিত হয়। সকল স্তরের অভিভাবকদের প্রত্যাশায় ১৯৯৫ সালে বিএ, বিএসএস, বিকম ও বিএসসি কোর্স খোলা হয়। স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালুর বিষয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে প্রাক্তন সেনা প্রধান (মরহুম) মেজর জেনারেল মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, বিবি, এনডিসি, পিএসসি এর অবদান অনস্বীকার্য। তারই অনুপ্রেরণায় ১৯৯৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৯৯ সালে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়। এভাবে কলেজটি ধাপে ধাপে উচ্চতর শিক্ষাঙ্গণে পরিণত হয়। ২০০৩ সালে উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণিতে জিপিএ চালুর প্রথম বছরেই যশোর শিক্ষা বোর্ড হতে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসাবে অত্র কলেজের একজন ছাত্রী জিপিএ ৫ প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করে। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৯ সালে কলেজের বরেণ্য প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উদযাপিত হয়। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পাশাপাশি ডিগ্রি (পাস) সহ ১০ টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও ৫টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে পাবলিক কলেজে রূপান্তরিত হয়।

প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তথ্য:
◙ ১৯৬৯ সালে দাউদ পাবলিক স্কুলের ক্যাম্পাসে মানবিক বিভাগ চালুর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু।
◙ ১৯৭৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়।
◙ ১৯৮৩ সালে দাউদ পাবলিক ক্যাম্পাস হতে বর্তমান ক্যাম্পাসে কলেজটি স্থানান্তরিত হয়।
◙ ১৯৮৫ সালে বাণিজ্য বিভাগ চালু করা হয়।
◙ ১৯৯৩ সালে বি.এ, বি.এস.এস.এবং বি. কম (পাস) কোর্স চালু করা হয়।
◙ ১৯৯৫ সালে বিএসসি (পাস) কোর্স চালু করা হয়।
◙ ১৯৯৬ সালে বাংলা, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক স¤মান কোর্স চালু করা হয়।
◙ ১৯৯৯ সালে বাংলা, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়।
◙ ২০০৫ সালে হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, বিবিএ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ ও গণিত বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলা হয়।
◙ ২০১৪ সালে হিসাব বিজ্ঞান, সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়।
◙ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মটর ড্রাইভিং কাম মেকানিক ও কম্পিউটারে বেসিক কোর্স চালু করা হয়।
◙ বর্তমানে কলেজটিতে ২২ উচ্চ মাধ্যমিক, ১৮ ডিগ্রী (পাস), ১০টি বিষয়ে অনার্স ও ০৫টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে।
বিভিন্ন অর্জন সমূহ:
◙ ২০০২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়।
◙ ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০১০ সালে পাবলিক কলেজসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়ে সেনা প্রধানের ট্রফি প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১১ সালে ০১ জন ছাত্রের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৫০০০ ও ১০০০০ মিঃ দূর পাল্লার দৌড়ে স্বর্ণপদক অর্জন করে ।
◙ ২০১৩ সালে বার্ষিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে একজন ক্যাডেট শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হওয়ায় জিওসি মহোদয় কর্তৃক একটি ল্যাপটপ পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে।
◙ ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে রসায়ন অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক লাভ করে।
◙ একই বছর জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ জ্ঞানে স্বর্ণপদক লাভ করে।
◙ ২০১৫ সালে প্রথম আলো আয়োজিত ‘‌‌ভাষা প্রতিযোগে’ জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করে।
◙ ২০১৫ সালে ক্যান্টনমেন্ট কলেজসমূহের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে সংসদীয় বিতর্কে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৫ সালে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ জ্ঞানে স্বর্ণপদক লাভ করে।
◙ ২০১৫ সালে সশ্রস্ত্র বাহিনী দিবসে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন করে।
◙ ২০১৫ সালে অত্র কলেজের বিবিএ বিভাগের একজন ছাত্রী পরিবেশ দূষণ রোধের উপর জাপানে অনুষ্ঠিত 20″ International Forum on Arsenic Contamination of Groundwater এর উপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করে ।
◙ ২০১৬ সালে আন্তঃক্যান্টনমেন্ট কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৬ সালের বিজয় দিবস ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৭ সালের আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করে এবং রুবিকিউবস প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে।
◙ ২০১৭ সালের আঞ্চলিক পর্যায়ে রসায়ন অলিম্পিয়াডে ৩য় ও ১১তম স্থান এবং ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ৯ম স্থান অর্জন করেছে।
◙ ২০১৭ সালে এ প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি (সেনা) শাখা হতে ০২ জন শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলংকা ও ভারতে গমন করে, এছাড়া ২০১৬ সালে ০২ জন শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলংকা ও ভারতে গমন করে, ২০১৫ সালে ০১ জন শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলংকায় গমন করে, ২০১৪ সালে ০১ জন শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলংকায় গমন করে, ২০১২ সালে ০১ জন শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলংকায় গমন করে এবং ২০১০ সালে ০১ জন শিক্ষার্থী মালদ্বীপ ও ভারতে গমন করে।
◙ ২০১৭ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-এর উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৮টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে। জেলা পর্যায়ে ১৬টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে। বিভাগীয় পর্যায়ে ০৫টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে ১টি ছাত্র তাৎক্ষনিক অভিনয়ে ৩য় স্থান অধিকার করে।
◙ ২০১৭ সালের সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগীতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ০৩ জন শিক্ষার্থী ১ম ও ০১ জন শিক্ষার্থী ২য় স্থান অধিকার করে। জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে ০১ জন ১ম ও ০১ জন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
◙ ২০১৮ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অত্র কলেজের বিএনসিসি সেনা শাখা উপজেলা, জেলা এবং খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি প্লাটুন এবং বিবিএনসিসি সেনা শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক এবং পিইউও মোঃ শরিফুল ইসলাম খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছে।
◙ ২০১৮ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর; শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মেহেদী হাসান অনিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৬টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগীতায় ১৩টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ০২টি ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে।
◙ ২০১৮ সালের আন্তঃক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অত্র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ফুটবল, ভলিবল ও টিটি খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৮ সালের আন্তঃক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অত্র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা খুলনা অঞ্চলে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং সারা দেশের মধ্যে রানাআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৮ তে শত বর্ষ রোভারিং উপলক্ষে সাইকেল রেলিতে অত্র কলেজের ৪ জন রোভার অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
◙ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে খুলনা বিভাগের মধ্যে বিএনসিসি সেনা শাখা শ্রেষ্ঠ প্লাটুন এবং বিএনসিসি’র শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়।
◙ ২০১৮ তে শত বর্ষ রোভার মুড রোভার পল্লী, গাজীপুরে অংশগ্রহণ করে অত্র কলেজের রোভার ইউনিট সেরাদের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ র্যাংকিং খুলনা অঞ্চলের মধ্যে ৫ম এবং ২০১৬ সালে ৭ম হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
◙ ২০১৯ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করে।