ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর (সিসিজে), বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ছাত্র-ছাত্রী, এক হাজার জন ফ্যাকাল্টি এবং পাঁচশত জন সাপোর্ট স্টাফগণ নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। কলেজের ১৭তম অধ্যক্ষ হিসেবে, আমি আন্তরিকভাবে সকলের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং অটল প্রতিশ্রুতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
মৌলিক ব্যাকরণ ও তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে অত্র কলেজ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বিষয়ে ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে প্রস্তুত করে। এখানে, আধুনিক শিক্ষার যাবতীয় সুবিধা এবং ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি গভীর মনোনিবেশে অনুপ্রাণিত করে। আমরা মৌলিক শিক্ষা, মনোবল ও চরিত্র গঠনে সর্বদা গুরুত্ব আরোপ করে থাকি।
আমাদের একাডেমিক পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাদান ব্যবস্থা ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুত করে। পাশাপাশি আমরা ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করি। অভিভাবকবৃন্দ এবং তাদের সুচিন্তিত মতামতকে আমরা গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করি। শ্রেণি শিক্ষকগণ অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন যা একজন শিক্ষার্থীর মেধা, মনন ও চরিত্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমরা মৌলিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করি।
সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করবে – এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল
অধ্যক্ষ
ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোর